চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে আগামীকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর)। আর শুরু থেকেই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রকাশ্যে বেশ কয়েকবার দাবি করেছেন এবারের নোবেল পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার তিনি। কারণ হিসেবে ট্রাম্প দাবি করছেন, চলতি বছর অন্তত ৮টি যুদ্ধ বন্ধ কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শান্তি প্রতিস্থাপন করেছেন তিনি।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর ট্রাম্পের শান্তিতে নোবেল জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যদি নোবেল না পান তাহলে তিনি কি করবেন এ নিয়ে আতঙ্কে আছে নরওয়ে। কারণ এ দেশটির নোবেল কমিটিই নোবেল বিজয়ী নির্ধারণ ও নাম ঘোষণা করে থাকে। যদিও নরওয়ের সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।
নরওয়ের স্যোশালিস্ট লেফট পার্টির বৈদেশিক নীতির মুখপাত্র মনে করছেন, ট্রাম্প যদি নোবেল পুরস্কার না পান তাহলে তিনি যা কিছু করতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো কিছুর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে উগ্রপন্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বাক স্বাধীনতার ওপর হামলা করছেন। মাস্ক পরা সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের প্রকাশ্যে রাস্তায় নামিয়েছেন মানুষকে কিডন্যাপ করতে। আদালত ও ইনস্টিটিউটের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছেন। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন উগ্র ও একনায়ক, আমাদের অবশ্যই যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নোবেল কমিটি স্বাধীন একটি সংস্থা। বিজয়ী নির্ধারণে নরওয়ের সরকারের সঙ্গে তাদের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কিন্তু আমি জানি না, ট্রাম্প এটি জানেন কি না। তার কাছ থেকে যে কোনো প্রতিক্রিয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এদিকে নোবেল কমিটির পরিচালক ক্রিষ্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, গত সোমবারই তারা বিজয়ী নির্ধারণ করে ফেলেছেন। যা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধের অনেক আগে হয়। ফলে এ যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
তাই হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধের কারণে ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার জিতবেন এমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন একাধিক বিশ্লেষক।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আরডি