সারাদেশে ২০২৫ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চারটি কলেজ, দুইটি মাদ্রাসা ও তিনটি কলেজের কারিগরি শাখা থেকে মোট ১ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৫০২ জন। তবে কলেজকে পেছনে ফেলে এবার মাদ্রাসা দুটি দেখিয়েছে অসাধারণ সাফল্য।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, উপজেলার দুইটি মাদ্রাসার সার্বিক পাশের হার ৮৫.৭১ শতাংশ, যা কলেজগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ধলাইরচর বরকতিয়া আলিম মাদ্রাসায় পাশের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। এই প্রতিষ্ঠানের দুইজন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়েছেন। শিয়ালদী আদর্শ আলিম মাদ্রাসায় পাশের হার ৭৫.০০ শতাংশ। উপজেলার দুই মাদ্রাসা মিলে মোট ২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৪ জন পাশ করেছেন।
অপরদিকে, কলেজ পর্যায়ে চরম ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। এবছর উপজেলার চারটি কলেজ থেকে মোট ৭০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৯৬ জন পাস করেছে। গড় পাশের হার মাত্র ৪২.১০ শতাংশ। পাশাপাশি ৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জন করেছে।
আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের পাশের হার ৪৭.৪৮ শতাংশ। কলেজের ৪৯৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৩৬ জন। এই প্রতিষ্ঠানের ৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়েছে। আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের পাশের হার ৩৮.৬৮ শতাংশ। এই কলেজ থেকে ১০৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪১ জন। এই প্রতিষ্ঠানের ৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়েছে। হাজী আফিজ উদ্দিন আলেকজান কলেজের পাশের হার মাত্র ১৫.১৯ শতাংশ। কলেজটির ৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মাত্র ১২ জন পাশ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের পাশের হার ৩৩.৩৩ শতাংশ। এই কলেজের ২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭ জন।
এদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিনটি কলেজের বিএম শাখার গড় পাশের হার ৬১.২৮ শতাংশ। ২৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৮২ জন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর আলিম পরীক্ষায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার দুইটি মাদ্রাসা যে সফলতা অর্জন করেছে, তা সন্তোষজনক। উপজেলা প্রশাসন সব সময়ই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে, সেটা সাধারণ শিক্ষা হোক বা মাদ্রাসা শিক্ষা।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে কলেজগুলোও যদি শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও ক্লাসের মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেয়, তাহলে উপজেলায় সার্বিক শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে। আগামীতে যাতে ফলাফল ভালো হয় তার জন্য কলেজগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে।
এনআই