অ্যাশেজ মানেই অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ডের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু চলতি সিরিজে সেই উত্তেজনার জায়গাটা যেন দখল করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত আধিপত্য। পার্থের পর এবার ব্রিসবেনেও হেসেখেলে ইংলিশদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে অজিরা।
৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কিছুটা নড়বড়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড দ্রুত ২২ রানে ফিরে গেলে তার পথ অনুসরণ করেন মারনাস লাবুশেন (৩)। তবে ওপেনার জ্যাক ওয়েদারল্ড (১৭*) শান্ত থেকে এক প্রান্ত ধরেছিলেন। অন্য প্রান্তে থাকেন স্মিথ—২ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ব্রিসবেন টেস্টের তৃতীয় দিনেই ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসের ১৫৭ রানের লিডের ওপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংলিশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবে যায় দলটি। ১৩৪ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর ম্যাচের দিক একরকম ঠিকই হয়ে গিয়েছিল।
চতুর্থ দিনে বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকস কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা বেশিক্ষণ টেকেনি। বাজবলের ধারা থেকে সরে এসে ধীরস্থির ব্যাট করেন দুজন, কিন্তু মাইকেল নেসারের বোলিংয়ে ক্যারি ও স্মিথের দুটি দুর্দান্ত ক্যাচে শেষ হয় তাদের লড়াই।
স্টোকস করেন ৫০ (১৫২ বল), জ্যাকস ৪১ (৯২ বল)। শেষদিকে কেউ দাঁড়াতে না পারায় ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। একাই ইংলিশদের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামান মাইকেল নেসার। প্রথম ইনিংসে নেসার প্রভাব ফেলতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার তবু যায় মিচেল স্টার্কের ঝুলিতে। বাঁহাতি এই পেসার প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট। এর সঙ্গে ৭৭ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। পার্থের পর ব্রিসবেনেও স্টার্কের ধারাবাহিকতা অস্ট্রেলিয়াকে আলাদা আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।
সিরিজে এরই মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজ ইতিহাস বলছে,পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর সিরিজ হারার ঘটনা ঘটেছে মাত্র একবার, তাও ১৯৩৬-৩৭ সালে। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে পথটা এখন কঠিনতর; বাজবলের আক্রমণাত্মক সাহস কাজ করছে না, ঘটছে ভরাডুবি।
আরডি