চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বছরের পর বছর ধরে অনুমোদনহীন ক্লিনিক, ল্যাব ও হাসপাতালের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশে নেই ন্যূনতম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নেই লাইসেন্স ও নিবন্ধন, অথচ সেবা দেওয়ার নামে চলছে রোগীর শোষণ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি।
সম্প্রতি সময়ের কণ্ঠস্বরে প্রকাশিত ‘আনোয়ারায় মেডিকেল বর্জ্যে দূষিত কান্দুরিয়া খাল’ শিরোনামের তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনটি উপজেলা প্রশাসনের নজর কাড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ল্যাবে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা। সাথে ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগ, টেকনিশিয়ান, আনসার বাহিনী ও প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যরা।
এসময় আনোয়ারা বাজার, চাতরী চৌমুহনী, বটতলী বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়।পরিদর্শনে দেখা যায়, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লাইসেন্স নেই, বর্জ্য নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেই, প্রশিক্ষণহীন কর্মচারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সেবা, স্যানিটেশন পরিস্থিতি অস্বাস্থ্যকর ও ল্যাবে পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই।
এ সময় কালাবিবির দিঘীর মোড়স্থ আনোয়ারা প্রিমিয়ার মেটারনিটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে বটতলী বাজারস্থ জনসেবা হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আমরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছি। যাদের কাগজপত্র নেই, ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযান চলমান থাকবে'
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, অভিযানে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আনসার সদস্যরা।
আরডি