
সময়ের কণ্ঠস্বর- এক যুগ আগে র্যাব গঠনের পর ‘ক্রসফায়ার’ আলোচনায় উঠে এলেও এখন এই ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততা বেশি বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এ তথ্য জানায়। দেশের প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানায় তারা।
তাদের দেয়া তথ্য মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত ৭৯ জনের মধ্যে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২৪ জন, পুলিশের সাথে ৩০ জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে ৭জন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া পুলিশের নির্যাতনে ৫জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নির্যাতনে ১জন, পুলিশের গুলিতে ৫জন, বিজিবির গুলিতে ১জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া থানা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ৪জন এবং রহস্যজনকভাবে আরো ১জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী- পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০জনকে আটক করার ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় তারা। এর মধ্যে পরবর্তীতে ৬জনের লাশ পাওয়া গেছে। ২জন ফেরত এসেছে, ৪জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করে আসক।
আসক জানায়, এ সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ছয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৬৯৩টি। এতে ১৪২জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯০৮৫জন। রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ১১৮টি। এতে নিহতের সংখ্যা ১২জন, আহত ১২০৫জন।