

সময়ের কণ্ঠস্বর – ছায়ানটের বর্ষবরণ ছাড়া রমনা পার্কে আর কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হবে না। রমনা পার্কের ঐতিহ্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃহস্পতিবার এবিষয়ে আদেশ জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানের ফলে রমনা পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। অনেক দুর্লভ বৃক্ষ ও তরুলতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং পার্কের ঐতিহ্য হারাচ্ছে।
“রমনা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, ঐতিহ্য সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ ছাড়া অন্য কোনো সংগঠনকে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হবে না।”
রমনা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, ঐতিহ্য সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন রমনা পার্কে ছায়ানটের বর্ষবরণ ছাড়া সকল অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর নির্দেশনার পর বিশিষ্টজনদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম বজলুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা হয়।
রমনা পার্কের উন্নয়নে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে প্রধান করে সাত সদস্যের ডিজিটাল সার্ভে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- স্থাপত্য অধিদপ্তরের উপ-প্রধান স্থপতি সৈয়দ আমিনুর রহমান, গণপূর্ত আরবরিকালচারের প্রধান বৃক্ষ পালনবিদ ও গবেষক দ্বিজেন শর্মা, স্থপতি মুসতাক কাদরী, স্থপতি তুগলক আজাদ ও উদ্ভিদবিদ শরিফ হোসেন।