
আরাফাতুজ্জামান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ “ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আবু তালেব, প্রো: ইমন এন্টার প্রাইজ, কুটুম কমিউনিটি সেন্টারের মালিক, এবং মনি (আজিজ ডা: ছেলে)। আমি তালেবের লাইসেন্সে যশোর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী নির্মাণ কাজ করি। তাদের নিজ স্বাক্ষর করা খরচ বাদ দিয়ে আমার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বার বার তাদের দুয়ারে ধরনা দিয়। কিন্তু একটা বিল থেকে আমাকে কোন টাকা দেয় নি। বরং তালেক মনিকে দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তোর লাশ ও খুজে পাওয়া যাবে না…..।”
এমনই কারণ লিখে আত্মহত্যা করেছে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুরের মুন্সি সিরাজুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে মুন্সী সোলায়মান হোসেন বিপ্লব।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুর ১ টার দিকে শহরের হামদহ কালীমন্দিরের সামনে নিজ অফিস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আত্মহত্যার করার আগে ওই ঘরের দেয়ালে তার মৃত্যুর কারণ তিনি লিখে রেখে যান।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, দুপুরে এলাকাবারী নিকট থেকে খবর পেয়ে বিপ্লবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, মৃত্যুর আগে বিপ্লব তার অফিসের দেয়ালে কালী দিয়ে কুটুম কমিউনিটি সেন্টারের মালিক আবু তালেব ও ডা: আজিজের ছেলে মনি নামের ২ জনের নাম উল্লেখ করে ঠিকাদারী কাজের টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মৃত্যুর কারন লিখে রেখে গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।