
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক – যাকে নিয়ে এত প্রশ্ন ও রহস্য সেই হাসনাতকে অবশেষে আটক করলো পুলিশ । তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার তথ্য জানতে এবং যাচাই-বাছাই করতে তাকে সহ আরও কয়েকজনকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁ থেকে ঘটনার সময় নিরাপদে জঙ্গীরাই বের করে দেয় কয়েকজনকে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে । এই ভিডিও নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন তাদের কাছ থেকেই পাওয়া যেতে পারে আরও বেশ কিছু তথ্য ।
সূত্র জানায়, সকালে যখন আর্জেন্টিনার একজন নাগরিক ও বাংলাদেশি একজন বের হয়ে আসেন তারা বাইরে এসে জানায় যে, হোটেলের ভেতরে যেসব বিদেশি ছিল তাদের সবাইকে রাতেই হত্যা করা হয়েছে। তারা কেউ বেঁচে নেই। তবে দেশি কোনো নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে কিনা এই রকম কোনো তথ্য তারা যৌথবাহিনীকে দিতে পারেনি। তারা যখন বাইরে এসে বিদেশিদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়, এরপরই আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
হোটেলের পাশের একটি বাড়ি থেকে ভিডিওটি ধারন করেন একজন কোরিয়ান নাগরিক
গুলশানের হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার পর কয়েকজন নারীকে নিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া লোকটি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে ফেসবুকে প্রথম খবরটি ভাইরাল হয়।
নিঝুম মজুমদার নামে একজন স্ট্যাটাস দিয়েছেন, গতকাল-ই আমি আমার এক পোস্টে প্রশ্ন তুলেছিলাম আর্টিসান বেকারীর ভেতর বসে থাকা একটা পুরা মাথা টাকওয়ালা লোক আছে। যেই লোকটি অস্ত্রধারীদের সাথে বসে ছিলো বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায়। তাকে নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম যে কে এই লোক?
শনিবার সকালে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তাকে হলি আর্টিজান থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানের আগে-পরে রেস্টুরেন্ট ও আশেপাশের এলাকা থেকে হাসনাত করিমসহ যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের প্রায় সবাইকেই গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হলেও হাসনাত করিম এখনও গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছেন।