
সময়ের কণ্ঠস্বর – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীরা দেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তাদের সকল প্রকার জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এক্ষেত্রে প্রতিবেশি ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে গুলশান-২ নম্বর সেক্টরে হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রবেশ করে। প্রথমে টহল পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করে। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী সেখানে হাজির হয়। সন্ত্রাসীরা তখন গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলি করে।
তিনি আরো বলেন, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো ধর্মের নামে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেশের কোমলমতি ছাত্রদের বিপথগামী করছে। এ সময় সন্তানদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কমান্ডো অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীরা সবাই বাংলাদেশি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
গত শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি গুলশানের ওই ক্যাফেতে হামলা চালালে দেশি বিদেশি অতিথিরা সেখানে জিম্মি হন। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।