
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক – গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতরা কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই নিখোঁজ আরো বেশকিছু যুবকের সন্ধান চেয়ে তাদের ফেরার আহ্বান জানান অভিভাবকরা। ওই নিখোঁজ যুবকদের মধ্যে ১০ জনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা ভারতেই রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই সব নিখোঁজ যুবকদের পাসপোর্ট নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই নিখোঁজদের খোঁজে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের মেহেদিপুর, হাবিবপুর, হিলি, চাংরাবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম।
নিখোঁজরা হলেন— ঢাকার তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বাড্ডার জুনায়েদ খান (পাসপোর্ট নম্বর এএফ ৭৪৯৩৩৭৮), ইব্রাহীম হাসান খান (পাসপোর্ট নম্বর এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), ধানমণ্ডির জুবায়েদুর রহিম (পাসপোর্ট নম্বর ই ১০৪৭৭১৯), আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর ৫২৫৮৪১৬২৫); চাঁপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী; সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী (পাসপোর্ট নম্বর এল ০৬৩৩৪৭৮), মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি (পাসপোর্ট নম্বর টিকে ৮০৯৯৮৬০) ও জুন্নুন শিকদার (পাসপোর্ট নম্বর বি ই ০৯৪৯১৭২); লক্ষ্মীপুরের এটিএম তাজউদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর এফ ০৫৮৫৫৬৮)।
আর এ তথ্য পাওয়ার পরই ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ ও বিজিবি। ইতিমধ্যেই বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজখবর নিতেও শুরু করেছেন। কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পেলেই পুলিশ বা বিএসএফকে জানাতে বলা হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে তেমন একটা মুখ খুলছে না ভারতীয় বাহিনী। মুখ খুলতে রাজি হননি মালদা জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অবশ্য তিনি এ বিষয়ে কিছুটা আঁচ দিয়েছেন। এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি অনেক বড় বিষয়। এ নিয়ে আমার কিছু বলা উচিত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘গুলশনে হামলার পর অবশ্য জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। জেলার সব হোটেল, লজ, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জাতীয় সড়কেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’