টাঙ্গাইল,সখিপুর প্রতিনিধি, সময়ের কণ্ঠস্বর-
প্রতিবেশি ভাবীর সহায়তায় টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার ঐ মাদ্রাসা ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে ।
রবিন (২২) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এই ধর্ষণে প্রত্যক্ষ সহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে রবিনের ভাবীর নামে।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে সখীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গজারচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনা প্রকাশ পায় আজ শনিবার।
অভিযুক্ত রবিন ওই এলাকার শাহজাহানের ছেলে। এ ঘটনায় রবিনের ভাবি নুসরাত জাহান তৃপ্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রবিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী ঈদের দিন বিকালে প্রতিবেশী রবিনের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রবিনের ভাবি নুসরাত জাহান তৃপ্তি তাকে বাড়িতে ডেকে নেন। সরল বিশ্বাসে ঐ মাদ্রাসা ছাত্রী প্রতিবেশি ভাবীর বাসায় গেলে তাকে গল্প করার কথা বলে ঘরে ডেকে নেয় রবিনের ভাবী তৃপ্তি । পরে ঐ ঘরে তৃপ্তির দেবর রবিন আসলে আগে থেকে পরিকল্পনা মাফিক ভেতরে মাদ্রাসা ছাত্রী ও রবিনকে রেখে বাইরে থেকে দরোজা লাগিয়ে দেয়।
এভাবে তৃপ্তির সহযোগিতায় রবিন ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে ঐ মাদ্রাসাছাত্রীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশের কাছে আটক তৃপ্তি জানিয়েছেন, ‘আমি জানতামনা রবিন তাকে ধর্ষণ করবে! আমাকে সে বলেছিলো মেয়েটিকে সে ভালোবাসে। আমাকে ডেকে দিতে বলেছিলো কথা বলার জন্য’ ।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় রবিন ও তার ভাবি নুসরাত জাহান তৃপ্তিসহ পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আবদুল্লাহ সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় রবিনের ভাবি তৃপ্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামিসহ অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।