
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,সময়ের কণ্ঠস্বর-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ১২বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনায় থানায় মামলা দেওয়া হলে ধর্ষিতাকে প্রাণনাস করাসহ তার পরিবারকে উল্টো মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী শিশু ধর্ষক ও নির্যাতনকারী।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার সকাল ১০টায়। ধর্ষিতা ও নির্যাতিত শিশু কন্যার নাম জুয়েনা আক্তার(১২)। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার মেয়ে। শিশু ধর্ষক ও নির্যাতনকারীর নাম রফিক মিয়া(৩৮)। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের বাসিন্দা ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা শিশু কন্যা ও তার পরিবার সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়,লম্পট রফিক মিয়া একজন ওয়ার্কশপ মেকানিক। সে তার বাদাঘাট বাজারে কাপড়পট্টিতে অবস্থিত তার নিজ বাসায় কাজ করার কথা বলে শিশু কন্যা জুয়েনা বেগমকে তার বাসায় নেয়। এরপর বিয়ে করার কথা বলে দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক শারীরিক মেলামেশা করে। লম্পট রফিক মিয়ার খারাপ প্রস্তাবে রাজি না হলেই তাকে করা হতো অমানুসিক নির্যাতন।
আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অসহায় শিশুকন্যা জুয়েনা বেগম থানায় মামলা করতে প্রস্তুতি নিলে তাকে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানী করাসহ প্রাণনাসের হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী শিশু ধর্ষন ও নির্যানকারী রফিক মিয়াসহ তার লোকজন। এঘটনায় ধর্ষিতা শিশু কন্যা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এব্যাপারে ধর্ষনকারী রফিক মিয়ার স্ত্রী মুক্তা বেগম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন,আমাদের হাত অনেক লম্বা,এসপি,ডিসি,ইউএনও,চেয়ারম্যান আমাদের কথায় উঠে বসে,আমরা তাদেরকে জন্ম দেই,আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি করলেও কেউ কিছুই করতে পারবেনা,উল্টো ৭দিনের ভিতরে মামলা দিয়ে আমার ভাই ফাঁসিয়ে দেবে।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন,ঘটনাটি জানতে পেরেছি,এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।