
আন্তর্জাতিক ডেস্ক- তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারী ট্যাংক নিয়ে অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী। দেশটির বড় বড় শহরগুলোতে সংঘর্ষ চলছে। এ পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
একটি টেলিভিশন ঘোষণায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দাবি করেছে, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে এছাড়া এ ঘটনায় ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইস্তানবুলের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের ব্রিজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং আঙ্কারার আকাশে নিচু দিয়ে বিমান উড়ছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে একটি ‘পিস কাউন্সিল’ দেশ পরিচালনা করবে। দেশে কারফিউ এবং মার্শাল ল’ জারি করা হয়েছে।এর আগে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদ্রিম জানিয়েছিলেন, তুরস্কে সেনাবাহিনীর একটি অংশ বেআইনি অভিযান শুরু করেছে। তিনি বলেছেন, কোনো অনুমতি ছাড়াই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই অভিযান শুরু করেছে। তবে এটা কো্নো অভ্যুত্থান নয়। তুর্কি সরকারে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও তিনি জানান।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গোলাগুলির হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইস্তানবুলের পুলিশ সদর দপ্তর এলাকাতেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ইস্তানবুল বিমানবন্দরের বাইরে ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, সবকিছু দেখে এটা একটি পরিকল্পিত অভ্যুত্থান বলেই মনে হচ্ছে। কারণ তারা সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছে। খুব সহজে এর শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না ।
এনটিভি টেলিভিশনকে টেলিফোনে বিনালি ইয়ালদ্রিম বলছেন, কোনো একটি চেষ্টার সম্ভাবনার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এ ধরণের কোনো চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।
তুরস্ক সরকারের একজন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান নিরাপদে রয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তিনি অবশ্য আর কোনো বিস্তারিত জানাননি। যারা এজন্য দায়ী,তাদের মূল্য দিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বসফরাস নদীর দুইপাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং ইস্তানবুলের ফেইথ সুলতান মেহমেত ব্রিজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি কাদের নিয়ন্ত্রণে তা বোঝা যাচ্ছে না। সেনাসদস্যরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। সারা রাত ধরে বিস্ফোরণ চলেছে।
এএফপির খবরে জানানো হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দলের (একেপি) সমর্থকদের প্রতি রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।