
এম এ সাইদ খোকন, বরগুনা প্রতিনিধি: আমতলী উপজেলার বিভিন্ন কলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে শতাধিক কোচিং সেন্টারে কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধের নির্দেশনা দিলেও তা মানা হচ্ছে না।
জানা যায়, বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং বাণিজ্য। স্কুলগুলোতে আলাদাভাবে বিশেষ ক্লাস নেয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকরা তা না করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিষয় ভিত্তিক ফি-সহ আনুষাঙ্গিক ফি বাবদ প্রতি জন থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়েই কোচিং করতে আসি।
এদিকে যে সব শিক্ষার্থী কোচিং করেনি তাদেরও নির্ধারিত হারে কোচিং-এর টাকা দিতে হচ্ছে। যারা কোচিং-এর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন তাদের অর্ধবার্ষিকী ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে দেয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, লেখাপড়ার মতো একটি পবিত্র বিষয়কে কিছু অসাধু শিক্ষক অপবিত্র করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। এদিকে আমতলী একে মডেল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় কোচিং বাণিজ্যের নামে চলছে অভিভাবকদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের মহোৎসব।
কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে আমতলী ডিগ্রি কলেজ, আমতলী বকুল নেছা মহীলা কলেজ, আমতলী এম ইউ বালিকা বিদ্যালয়, আমতলী এম ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উপজেলার অধিকাংশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা সদরের ব্যক্তি পর্যায়ে বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক কোচিং বানিজ্যর সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহলোম কবির, এম ইউ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, কোচিং ও প্রাইভেট পড়াতে শিক্ষকদের নিষেধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মস্তফা বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহি অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, কোচিং বন্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।