
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক – নিখোঁজ যুবকদের একজন ছিলেন ব্যান্ড শিল্পী । গুলশানের জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিখোঁজ যে ১০ যুবকের তালিকা দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ঢাকার জুবায়েদুর রহিম একজন ব্যান্ডশিল্পী ছিলেন বলে জানা গেছে।
জুবায়েদুরের পরিচিত এক যুবক জানান, চলতি শতকের শুরুর দিকে তারা একই ব্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন, যদিও সেই দলের নাম তিনি প্রকাশ করতে চাননি। খবর বিডিনিউজ২৪ডটকমের।
২০০৮ সালের একটি ছবিও তিনি দিয়েছেন, যেখানে ওই ব্যান্ডের তখনকার তিন সদস্যের সঙ্গে জুবায়েদুরকে দেখা যায়। বাবা-মা দুর্ঘটনায় মারা গেলে দাদার পরিবারে জুবায়েদুর বেড়ে ওঠেন বলে তথ্য দিয়েছেন তার পরিচিত সেই যুবক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জুবায়েদুরের বাবার নাম বজলুর রহিম, আর মায়ের নাম ফৌজিয়া ইয়াসমিন।
জুবায়েদুর কোথায় লেখাপড়া করেছেন তা জানা না গেলেও তার পাসপোর্ট নম্বর-ই ১০৪৭৭১৯ বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। ধানমণ্ডির ৯ এর এ সড়কের ৮০ নম্বর হোল্ডিংয়ে তাদের বাসা। তবে সেখানে ওই নামে কেউ থাকেন না বলে বাসিন্দারা তাকে জানিয়েছেন।
১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলায় অংশ নেয়া যুবকদের সবাই বেশ কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর ৭ জুলাই ঈদের দিন শোলাকিয়ায় হামলা চালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে যে যুবক নিহত হন, তিনিও চার মাস আগে নিখোঁজ হন বলে পরিবারের ভাষ্য।
নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানরা বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হওয়ার তথ্য আসতে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন এমন ১০ যুবকের নাম ও ছবি প্রকাশ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
জুবায়েদুর ছাড়া বাকি নয়জন হলেন- ঢাকার তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইব্রাহীম হাসান খান ও তার ভাই জুনায়েদ খান, কলাবাগানের আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম, জিগাতলার জুন্নুন শিকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী, সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের এ টিএম তাজউদ্দিন ও সিলেটের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি।