

সময়ের কণ্ঠস্বর: আজ শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা তোলার পর পায়রা উড়িয়ে ২০তম সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী পর্বের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসবে রুদ্ধদ্বার কাউন্সিল অধিবেশন, যাতে পরবর্তী কর্মপন্থা ও নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আওয়ামী লীগ ২০তম সম্মেলনের স্লোগান ঠিক করেছে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।
ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর এবং সম সংখ্যক পর্যবেক্ষক রুদ্ধদ্বার কাউন্সিল অধিবেশনে বসছেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ আহমেদ জয়ও থাকছেন কাউন্সিলর হিসেবে। ঢাকার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত তোরণ। প্রধান সড়কগুলোর দুই পাশে বিভিন্ন রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
নতুন নেতৃত্বের স্থান সঙ্কুলানে এবারের সম্মেলনে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির প্রস্তাব গত ১৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মতিও পেয়েছে। এখন কাউন্সিলে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের কথা।
# ৭৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বেড়ে হবে ৮১ সদস্যের
# এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের সংখ্যা বাড়বে ৪ জন
# কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যের সংখ্যা বাড়বে ২ জন
# যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাড়বে একজন করে
জেলা, মহানগর ওয়ার্ড, থানা, পৌর এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়েও গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ একটি প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০ জন বাড়িয়ে ১৮০ জন করার প্রস্তাব রয়েছে।
জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত ভেঙে প্রার্থী হলে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে একটি প্রস্তাবে।