

সময়ের কণ্ঠস্বর- জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে দেশের সব বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর ১৩তম সমাবর্তনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করে দিয়েছি আমরা। ১৯৯৬ সালে আমরা এগুলো তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাতৃকালীন ছুটি ৬ মাস করে দিয়েছি। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পোলিওমুক্তির সনদ পেয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত, টিটেনাসমুক্ত। আমরা একদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, আবার পুষ্টির দিকেও লক্ষ রেখেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এখন দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর হয়েছে। দেশে শিশুমৃত্যু হার, মাতৃমৃত্যু হার কমিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়ন করা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছি। স্থানীয় পর্যায়ে যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে আমরা সেই কাজ করেছি। এখন বিনা মূল্যে অনেক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে আমরা সার্ভে করে হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করেছিলাম। আমরা উল্লেখযোগ্য হারে ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দিয়েছি। থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশদের জন্য আলাদা হাসপাতাল করে দিয়েছি।’
তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘চিকিৎসা পেশা নয়, এটা মহান ব্রত। আমরা চাই রোগীদের চিকিৎসাসেবা ভালোভাবে দেবেন। চিকিৎসকের মুখের কথায়ও অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়। মানুষের সেবা করার মনোভাব নিয়ে চিকিৎসা করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে মোবাইলকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। কারণ এর আগে বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবসা করতেন। আমরা এটা উন্মুক্ত করার পর জনগণ মোবাইলে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।’