

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
সহকারী শিক্ষক জুনায়েত হোসেন খান সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের আশায় ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর চাকরি থেকে অব্যহতি দেন। ওই অনুসারে প্রধান শিক্ষক তার অব্যহতিপত্র গ্রহণ করে একই তারিখে ছাড়পত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে ৩০ ডিসেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২৭ ডিসেম্বর নিয়োগ দেয়া হয়।
কিন্তু বিধি বাম, নিয়োগবিধি অনুসারে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে হলে কমপক্ষে ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে জুনায়েত খানের অভিজ্ঞতার পুঁজি ১০ বছরের চেয়ে কয়েকদিন কম। এনিয়ে একই এলাকার জহিরুল ইসলাম এবং শহিদুল তালুকদার একটি লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। এমনকি অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে কলাপাড়ার সহকারী জজ আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়।
জহিরুল হক খান অভিযোগ করেন অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়লে ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এক রেজুলেশনের মাধ্যমে জুনায়েত হোসেন খানের সহকারী প্রধান শিক্ষকের ২৮ ডিসেম্বরের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। আবার কোন রকম নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া না দেখিয়ে ফের সহকারী শিক্ষক পদে বহাল দেখানো হয়েছে জুনায়েত হোসেনকে। কীভাবে অব্যহতি দেয়া একজনকে নতুনভাবে নিয়োগ না দিয়ে ফের শিক্ষক হিসাবে বহাল দেখানো হয়েছে-এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। লালুয়া এসকেজেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি বেতনভাতাও উত্তোলন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়। এব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহআলম জানান, কমিটি আগের সব সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন খান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।