

রেজাউল সরকার (আঁধার), গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সিটি-করপোরেশনের কোনাবাড়ি থেকে কাশিমপুর হয়ে জিরানী বাজার পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। সড়ক নয় এ যেন মরণ ফাঁদ। তবুও জীবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হয় এ সড়ক দিয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার অন্যতম এ ব্যস্ত সড়কটির ভয়ংকর চিত্র। প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারিসহ চলাচল করে ভারি যানবহন। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি অকেজো হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে বেড়েছে। বর্ষাকালে দেখা গেছে, সামন্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না দেখে মনে হয় চলন বিল। র্দীঘ দিন ধরে রাস্তাটি অবহেলায় পড়ে আছে অথচ কারো চোখে পড়ছে না। এলাকার কাউন্সিলরসহ সিটি-করপোরেশনের কর্মকর্তা তারা নিজেরাও জানেন এ সড়ক দিয়ে চলতে গেলে ভোগান্তির শেষ নেই। বর্তমান সরকারের সময় বেশ কয়েকবার লোক দেখানো মেরামত করা হয়েছে। ৩ মাস না যেতে পুনরায় আগের মতো খানাখন্দ ভরপুর।
স্থানীয়রা অতি আবেগ দিয়ে বলেন, যখন নির্বাচন আসে তখন জনপ্রতিনিধিরা আমাদের পেছনে পেছনে সারাক্ষণ ভোটের জন্যে লেগেই থাকেন। কিন্তু ভোট শেষে আর খোঁজ খবর রাখেন না। অথচ সড়কটি ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় দিন রাত রপ্তানি মুখি প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। কোনাবাড়ি, কাশিমপুর শিল্প অঞ্চল হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় লক্ষধিক গার্মেন্টস শ্রমিক, স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা, ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। বড় বড় খানাখন্দ গর্তের ওপর দিয়েই বিপদজ্জনক অবস্থায় যেতে হয়। বড় বড় গতের্র ওপর দিয়ে ভারি যানবাহণ চলার সময় দেখে ভয় হয়। উল্টে পড়ার আশংকা থাকে।
এদিকে গাজীপুর সিটি-করপোরেশনের কোনাবাড়ি নতুন বাজার হয়ে আমবাগ পর্যন্ত শহিদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার এমপির নামে সড়কটি বেহাল দশা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে নেমে আসা বর্জ্য পানিতে বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। এ সড়কে পথচারিসহ যানচলাচলের চাপও অনেক বেশি। প্রতিদিন হাজার হাজার জনতা ও গার্মেন্টস শ্রমিকেরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
কোনাবাড়ি নতুন বাজার থেকে আমবাগ পর্যন্ত বড় গর্তে হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে। নতুন বাজার ব্যবসায়ী মহল জানান, সারাদিন বর্জ্য পানির দুর্গন্ধে থাকতে হয়। এ সড়কটি কেউ দেখতেও আসে না। নিজেদের টাকা দিয়ে কিছু মাটি ও শুরকি ফেলেছি।
এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সেলিম রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, এ সড়ক দুই ভাগে টেন্ডার হবে। প্রথম ভাগের টেন্ডারের কাজ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে।