

এস আই মুকুল, ভোলা প্রতিনিধি: সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এক শ্রেণীর মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা মেঘনায় প্রতিনিয়তই বেড় জাল, বেহুন্দি জাল ও মশারী ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন করে চলছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দিনে দিনে ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ।
সরেজমিন মেঘনার তীরের বিভিন্ন মৎস্য ঘাট ঘুরে জানা গেছে, ভোলার ইলিশা, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, শশীগঞ্জ, চৌমুহনী, গুরিন্দা, চরজহির উদ্দিনের বরিশাল খাল, মনপুরা, ঢালচর, চরপাতিলা ও হানিফ বেপারীর ঘাটে প্রতিদিন তিন শতাধিক পোয়া, বেড় জাল, বেহুন্দি, মশারী ও প্রায় সহস্রাধিক কারেন্ট জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরছে জেলেরা।
এছাড়াও জেলার উত্তরে কানিবগার চর, ভোলাচর, গাজীপুর, মধুপুর, কাচিয়াচর থেকে সাগর মোহনার শতাধিক ডুবোচর ঘিরে শত শত মশারি ও বেহুন্দি জাল দিয়ে শিকার করা হচ্ছে রেণু পোনা। বিশেষ করে মনপুরার মোহনায় লতারচর এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বিন্দি জালের মাধ্যমে ইলিশ, পোয়া, পাঙ্গাস, বাইলা, তপসে ও আইর মাছের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ মারা পড়ছে। সরকার ৪ দশমিক ৫ সেন্টি মিটারের কম ফাঁড়ের সকল জাল নিষিদ্ধ করলেও এসব জালের ফাঁড় রয়েছে মাত্র দেড় থেকে আড়াই সেঃ মিটারেরও কম। এসব বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কোন টহল টিম নদীতে যাচ্ছেনা। পুলিশ ও কোষ্টগার্ড নিয়মিত নদীতে টহল দিলেও কোন সাফল্য নেই।
কোস্টগার্ড ভোলা দক্ষিন জোনের অপারেশন অফিসার দেবায়ন চক্রবর্তী বলেন, মেঘনায় অবৈধ জালের পয়েন্ট গুলো চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সকল প্রকার মাছের বংশ রক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডেও নিয়মিত টহল অব্যাহত আছে। সকল অবৈধ জাল আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।