

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহ¯্রাইল-কাশিয়ানী আঞ্চলিক সড়কের সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার পাঁশের জমি দখল করে সহ¯্রাইল গ্রামের বিপুল কুমার দত্ত ও তোফাজ্জেল হোসেন চুন্নু মুন্সী দোকানঘর ও সীমানা প্রাচীর তৈরী করছেন বলে জানা গেছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল কুমার দত্ত সরকারী জমি অবৈধ ভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছে। অপরজন তোফাজ্জেল হোসেন চুন্নু মুন্সীও জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন বলে এলাকাবাসীরা জানান।
এ বিষয়ে বিপুল কুমার দত্ত জানান, সরকারী জমি অনেকেই দখল করে বাড়িঘর দোকান নির্মাণ করেছেন। সে মোতাবেক আমিও করেছি। ক্ষমতা আছে বিধায় দখল করতে পেরেছি। অন্যদিকে তোফাজ্জেল হোসেন জানান, সরকারের যখন প্রয়োজন হবে তখন দখলকৃত জমি ছেড়ে দেব। তবে তোফাজ্জেল হোসেনের এক ছেলে ঢাকায় কর্মরত তিনি সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে ভয়ভীতি ও হুঁমকি-ধামকি প্রদান করেন।
তিনি এও বলেন, সরকারী দল করি আমরা। বোয়ালমারীতে বড় বড় নেতা আছে যারা সকলেই আমাকে চেনে এবং আমার তাদের নিজস্ব জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের সাংসদ আব্দুর রহমান ও তার পিএ নয়ন। অপর দিকে মুঠোফোনে বিপুল কুমার দত্ত জানান, “আপনারা যা পারেন লিখেন, লিখলে কিছুই হবে না। সকল পত্র-পত্রিকা ও চ্যানেল আমাদের দলের নিয়ন্ত্রিত।”
সহ¯্রাইল গ্রামের একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বিপুল কুমার দত্ত ও তোফাজ্জেল হোসেন চুন্নু মুন্সীর পরিবারের লোকজন খুবই উচ্ছৃঙ্খল বিধায় আমরা ওদের সাথে কোনো কথা বলি না। সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে এই দুই ব্যক্তি সীমানা প্রাচীর ও দোকানঘর নির্মাণ করেছেন।
ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মতিউর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, বিপুল কুমার দত্ত ও তোফাজ্জেল হোসেন সরকারী জমি দখল করে দোকানঘর ও প্রাচীর নির্মাণ করলে দুই এক দিনের মধ্যেই ভেঙ্গে দেওয়া হবে এবং জমি উদ্ধার করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া হবে।