

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীন এবং নেপালের মধ্যে প্রস্তাবিত যৌথ সামরিক মহড়ার খবরে নয়াদিল্লির চিন্তা বেড়ে গেছে। ‘প্রতিকার’ নামে ওই সেনা মহড়া আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ভারত এবং চীনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করলেও কাঠমান্ডুর পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে প্রস্তাবিত যৌথ সামরিক মহড়ায় নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দীপ উপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, ‘ওই অনুশীলন খুব ছোট মাপের করা হচ্ছে। এ নিয়ে ভারতের চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও এ ধরণের অনুশীলন অন্য দেশের সঙ্গে করেছি যাতে মাওবাদীদের মোকাবিলা করতে সক্ষম হওয়া যায়। আপনারা একে যেকোনোভাবেই দেখুন নেপালের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক আছে এবং তা এ ধরণের সামরিক মহড়ার ফলে পরিবর্তন হবে না।’
সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সহায়ক হওয়ার উদ্দেশে ওই সামরিক অনুশীলন করা হচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। ভারত গত এক দশক ধরে নেপালের সঙ্গে এ ধরণের সামরিক মহড়া করে আসছে। কিন্তু নেপাল এবং চীনের মধ্যে এ ধরণের সামরিক অনুশীলনের পদক্ষেপ ওই দুই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, ভারত এবং নেপালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতার আওতায় সামরিক শিক্ষা বিনিময়, যৌথ সামরিক মহড়া এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ চুক্তি রয়েছে। শুধু তাই নয়, ৩২ হাজার নেপালি গোর্খা আজও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সেবা প্রদান করছে। অন্যদিকে, নেপালে ভারতের ১.২ লাখ সাবেক সেনা সদস্য ও তাদের পরিবার বাস করে যারা ভারত থেকে পেনশন পায়।
নেপাল এবং চীনের মধ্যে প্রস্তাবিত সামরিক মহড়ার খবর ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ কাঠমান্ডু সফর করার এক মাস পরেই প্রকাশ্যে এসেছে। জেনেরেল সুহাগের ওই সফরকে ভারত এবং নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চাপ কমানোর দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল।
নেপালের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের উন্নয়নে চীন ভারতের বিরুদ্ধে শক্ত মনোভাব ব্যক্ত করেছে। সোমবার চীনা সরকারি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ কার্যত হুঁশিয়ারির ঢংয়ে বলা হয়েছে, ভারত সবসময় নেপালকে তার বাড়ির পিছন দিকের উঠোনের মত ব্যবহার করবে এটা বাস্তব সম্মত নয় এবং সম্ভবও নয়। চীন ও নেপালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত চাপ সৃষ্টি করতে পারে না বলেও চীনা দৈনিকে মন্তব্য করা হয়েছে।