

পার্থ হালদার, গৌরনদী, বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গেজেটভূক্ত ১৪ মুক্তিযোদ্ধা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা যাচাই-বাছাই করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্তার মনিরুল হক ও বার্থী ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার মানিক খানের যৌথ স্বাক্ষরে ভূয়া ১৪ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল চেয়ে মন্ত্রী’র কাছে এ আবেদন করেন। আবেদনের অনুলিপি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), বরিশাল জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র আঃ হালিম সরদার, মৃত কামিজ উদ্দিন খলিফার পুত্র চুন্নু খলিফা ও মাহাবুব খলিফা, মৃত দলিল উদ্দিন সন্যামতের পুত্র মোসলেম উদ্দিন, তাঁরাকুপি গ্রামের মৃত বেল্লাল বেপারীর পুত্র সেকান্দার বেপারী, মৃত হাসেম বেপারীর পুত্র মোসলেম বেপারী, মৃত মনসুর সরদারের পুত্র মো. শাহ্জাহান সরদার, কটকস্থল গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন মাঝির পুত্র শাহে-আলম মাঝি, বেজগাতি গ্রামের মৃত সুজাউদ্দিন মিয়ার পুত্র আবুল হোসেন, বাউরগাতি গ্রামের মৃত গফুর খন্দকারের পুত্র আমজেদ খন্দকার, মৃত রিয়াজ উদ্দিন শিকদারের পুত্র সেকান্দার শিকদার, মৃত সুলতান খানের পুত্র কুদ্দুস খান, বার্থী গ্রামের মৃত গফুর তালুকদারের পুত্র আঃ রব তালুকদার, বেকিনগর গ্রামের মৃত আইনউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র খলিলুর রহমান হাওলাদারকে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে বাতিল চেয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক ও বার্থী ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক খান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন।
আবেদনে তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কোন সাহায্য সহানুভূতি না দেখিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের লোক এবং রাজাকারের ১৪ দোসর মুক্তিযোদ্ধার গেজেটভূক্ত হয়ে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার আনোয়ার রাঢ়ী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিলের পৃথক ২টি আবেদনভূক্ত উপজেলার ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের তদন্ত হচ্ছে। আশা করি, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত করে সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে উপজেলার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিল করবে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুব আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তের জন্য নির্দেশ এসেছে কিনা তা অফিস চলাকালিন সময় ফাইল না দেখে কিছু বলতে পারব না।
গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত
বরিশালের গৌরনদীর ঐতিহ্যবাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারন সভা ২০১৬ গতাকাল শুক্রবার সকালে ইউনিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গৌরনদী রিপোটার্স ইউনিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা জহুরুল ইসলাম জহির। সাধারন সভায় বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ খন্দকার, বার্ষিক আয় ব্যায়ের রিপোর্ট পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ মোঃ মিজান সরদার।
এ সময়ে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ, রিপোটার্স ইউনিটির নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সাংবাদিক বেলাল হোসেন, শামীম মীর, এস.এম মোশারফ হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান চুন্নু, রফিকুল ইসলাম রনি ও রাশেদ আহম্মেদ, কাজী আল আমিন, তরিকুল ইসলাম দিপু, পলাশ তালুকদার।
শেষে গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রিপোটার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা, সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির ২০১৭র বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত সভাপতি মোঃ খায়রুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ ৯ সদস্যের নাম ঘোষনা করেন।