

আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর সদর থানা পুলিশ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ১২ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ ছানোয়ার হোসেন জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে।
জামালপুর শহরের বাগেরহাটা এলাকায় গতকাল সোমবার রাত ৮ টার দিকে তার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জুয়েলের জামালপুর শহরের বাগেরহাটা এলাকায় নিজ বাসার নিচতলায় শিশুটির পরিবার দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করে আসছে। বছর দশেক আগে শিশুটির বাবা শহরের বেলটিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। শিশুটি মা ও এক ছোট বোন নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করে আসছে। বাসায় কোনো পুুরুষ লোকজন না থাকায় বাসার মালিক ছানোয়ার হোসেন জুয়েল শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে শিশুটির নানা মেয়েটির অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করালে শিশুটির গর্ভে সন্তান আসার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে শিশুটি ছানোয়ার হোসেন জুয়েল তাকে ফুসলিয়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করেছে বলে জানায়।
এ ঘটনায় শিশুটির নানা বাদী হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জুয়েলকে আসামি করে শিশুটিকে ধর্ষণ ও অন্ত:স্বত্তা করার অভিযোগে গতকাল সোমবার বিকালে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর জামালপুর সদর থানা পুলিশ আসামি ছানোয়ার হোসেন জুয়েলকে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে উঠে। সোমবার রাত ৮টার দিকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শহরের বাগেরহাটায় ছানোয়ার হোসেন জুয়েলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির নানা অভিযোগ করে বলেন, ছানোয়ার হোসেন জুয়েল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় নাতনীকে সর্বনাশের ঘটনাটি বলতে গেলে অস্বীকার করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। তাই আমি থানায় মামলা দায়ের করে এ ঘটনার বিচার প্রার্থনা করেছি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ আসাদুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, গ্রেপ্তার ছানোয়ার হোসেন জুয়েলকে আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।