

আলমগীর হোসেন, কালিয়াকৈর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় আহসান নীট কম্পোজিট কারখানায় আরিজুল ইসলাম (৩০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। কুমুদ্দিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সুপারভাইজার সংকর চন্দ্র সরকার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের লাশ কারখানা কতৃপক্ষ নিয়ে গেছেন।
নিহত আরিজুল ইসলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার মৌ বাড়িয়া গ্রামের মৃত সামছুল আলমের ছেলে। সে হরিণহাটি এলাকার আবুল হাসেমের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় হক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ কারখানার নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো।
এ ব্যাপারে আহসান নীট কম্পোজিট কারখানার প্রসাশনিক কর্মকর্তা (এ্যাডমিন) আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের কারখানায় ডাইং সেকশনের চালের মেরামত কাজ করছেন হক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আরিজুল ইসলাম আহসান কম্পোজিট কারখানায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছিল। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ভবনের ২০ ফিট উপরে টিনের চালা লাগাতে গিয়ে আরিজুল হঠাৎ মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাৎক্ষনিক ভাবে আমরা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদ্দিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে সে মারা যায়।
পরে বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও এলাকায় জানা জানি হলে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর ডাইরেক্টর মোঃ রুবেল হোসেন জানান, নিহত আরিজুল আমাদের কর্মচারী ছিল। সে কর্মকালীন সময়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আমরা তার পরিবারকে অর্থনৈতিক সহযোগীতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মজিদ বকুল সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ ও আহসান নীট কম্পোজিট কারখানা কেউই আমাদের বিষয়টি অবহিত না করেই লাশ কুষ্টিয়ায় নিহতের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।