
জামালপুর প্রতিনিধি- জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এক বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে দেড় বছর বয়সী বোনকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে সরিষাবাড়ী থানার কাছে একটি পুকুর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই শিশুটির বড় ভাই ইন্দ্রজিৎ ঘোষ (২২) ও তাঁর মামাশ্বশুর আনন্দ কুমার মোহন্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেছেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষের বাবা পরিতোষ ঘোষ। দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী থানা সংলগ্ন হোটেল কর্মচারী পরিতোষ ঘোষের দেড় বছর বয়সী শিশু কন্যা প্রাপ্তি ঘোষ সোমবার রাতে মা বাবার সাথে ঘুমিয়ে ছিল। ভোর রাতে শিশুর মা ও বাবা তাকে না পেয়ে কান্নাকাটিতে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়।
অভিযোগের ভিত্ত্বিতে পুলিশ শিশুটির বড় ভাই ইন্দ্রজিৎ ঘোষকে আটক করে। ইন্দ্রজিতের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার মামা শ্বশুর আনন্দ মহন্তকে স্থানীয় কাউন্সিলর কালাচাদ পাল ও আব্দুস সাত্তারের সহযোগিতায় পৌরসভার ঝালু পাড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
আনন্দ মহন্তের জবানবন্দির প্রেক্ষিতে পানিতে নিক্ষেপ করা শিশুকে বেলা দুইটার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ আল মামুন, সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান, ওসি (তদন্ত) তাওহীদুর রহমান, সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের অভাব অনটনের সংসার। বোনটি বড় হলে বিয়ে দিতে অনেক টাকা লাগবে। তাই মামা শ্বশুর আনন্দ মহন্ত আমাকে তার ভাগনী অর্চনা ঘোষের সুখের জন্য একটি অটোবাইক কিনে দেয়ার আশ্বাসে আমার ১৫ মাসের ছোট বোন প্রাপ্তীকে পানিতে নিক্ষেপ করি।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান জানান, শ্শিুর ভাই ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ও তার মামা শ্বশুর আনন্দ মহন্তের পরিকল্পনায় ১৫ মাসের কন্যা শিশুকে পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে।