
এস আই মুকুল, ভোলা প্রতিনিধি: ভেজাল ও বিষাক্ত শিশুখাদ্যে ভোলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত এসব খাবার খেয়ে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নানাবিধ রোগে।
দীর্ঘদিন থেকে জেলা সদরসহ বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলোর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোট-বড় সব দোকানেই অবাধে এসব ভেজাল ও বিষাক্ত খাবারের বেচাকেনা চলতে থাকলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের তেমন কোন মাথাব্যথা নেই। এমনকি গ্রামাঞ্চলগুলোতেও ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে এসব শিশুখাদ্য। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার শিশু স্বাস্থ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্রি হচ্ছে এসব খাবার। আর এসব ভেজাল খাদ্যের প্রতি শিশুদের আকৃষ্ট করতে লজেন্স, চুইংগাম, চকোলেট, আচার, ড্রিংকস্, চিপস্ ইত্যাদির সাথে ফ্রি হিসাবে দেওয়া হচ্ছে বাঁশি, খেলনা, লটারির টিকিট, কুপন, প্লাস্টিকের স্পাইডারম্যান, ডোরেমন, সুপারম্যানসহ নানা ধরনের ছোট ছোট পুতুল ও বিভিন্ন ধরনের স্টিকার। ফলে এসবের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কোমলমতি শিশুরা ভেজাল খাবার খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমশ অকাল মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আর এসব অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি সস্তা দরের এসব ভেজাল ও বিষাক্ত খাবার খেয়ে শিশুরা জন্ডিস, আমাশয়, ডায়রিয়াসহ নানা রকম পেটের পীড়া ও নানাবিধ রোগব্যাধিতে অক্রান্ত হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাস্তার পাশে বিক্রি করা খোলা খাবার খেলে ক্ষুধামন্দা, জন্ডিস, হেপাটাইটিস, এন্টিফিভার, পেটের পীড়া, পেটের প্রদাহসহ মারাত্মক রোগ হতে পারে। এছাড়া আইসক্রিম ও শরবতে পানি বাহিত যে কোন ধরনের মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে শিশুদের। এসব রোগ থেকে শিশুদেরকে রক্ষা করতে হলে অভিভাবকদের সচেতনতা এবং ব্যক্তিগতভাবে সবাই সচেতন হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে।