
সময়ের কণ্ঠস্বর – ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি র্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ ও এসআই পুর্ণেন্দ্র বালা। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়। আপিলে মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার একই মামলার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সাত খুনের মামলায় র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন, নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার মাসুদ রানা, সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এছাড়া নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয় আদালত।
এরই মধ্যে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি হাইকোর্টে প্রেরণ করা হয়, যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।
এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এই সাজা অনুমোদনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে ‘ডেথ রেফারেন্স’ শুনানি হবে। সেখানে সাজা বহাল থাকলে তারা আপিল করতে পারবেন। আপিলের জন্য আসামিরা ৩০ দিন সময় পাবেন। যদি কেউ আপিল না করেন, তাহলে তার ক্ষেত্রে শুধু ডেথ রেফারেন্সেরই শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ।
এরপর ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি প্রথম মামলা করেন। আর ৮ মে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দ্বিতীয় মামলা করেন।