
মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে ৫ উপজেলায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে কুখ্যাত রাজাকারসহ ৪ শতাধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন বলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের অভিযোগ।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই উপলক্ষে এক প্রাক আলোচনা সভায় এসব দাবি করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিনসহ উপস্থিত বক্তারা।
এ সময় বক্তারা দাবি করেন, অনেক কুখ্যাত রাজকার আজ মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এতে সরকারের প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে।
তাই ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের পৃথক তালিকা প্রনয়ন করতে হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোন অবস্থায় যেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের স্যালুট কিংবা কর্মকর্তা হিসেবে মর্যাদা দিতে না হয় সেই লক্ষে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিহত করা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, গেরিলা লিডার এস. এম শফিকুল ইসলাম কানু, সদর উপজেলা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার আমিরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান (ছোট) প্রমুখ।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের তালিকা অনুয়ায়ী লালমনিরহাট জেলায় ১ হজার ৫৪৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫১৫ জন, আদিতমারী উপজেলায় ২১৯ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২১৫ জন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ২৮৮ শত ও পাটগ্রাম উপজেলায় ৩০৭ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন।