
স্টাফ রিপোর্টার, সময়ের কণ্ঠস্বর. সম্প্রতি মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সৃষ্ট ঘটনার পর থেকে (৮ অক্টোবর-২২ জানুয়ারি) এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩১৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে অনুপ্রবেশ প্রতিহত করে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
তিনি জানান রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে নিয়মিত টহল পরিচালনাসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আগমন তদারকি করা হচ্ছে।
সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাখাইন প্রদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা, মিয়ানমার সরকারের মুসলিমবিরোধী অভ্যন্তরীণ নীতিমালা এবং প্রতিকূল আর্থ-সামাজিক সমস্যার কারণে কয়েক দফায় মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন পরিচালিত দুটি রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে ৩০ হাজারের বেশি নিবন্ধিত এবং ৩ লাখের বেশি অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক বিভিন্ন অস্থায়ী শেল্টারে অবস্থান করছে। সম্প্রতি আরও ৬৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে করেছে।’
পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের অনীহার কারণে ২০০৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার শরণার্থীদের প্রর্ত্যাবসন করা সম্ভবপর হয়নি। তবে আমাদের সরকার পূর্ববর্তী মেয়াদ থেকেই এ সমস্যাটির স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক আদান-প্রদান ও পারস্পারিক যোগাযোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।