
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর- ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির জীবনে নিয়ে এসেছিল ভাষার অহংকার। এ মাসের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বইমেলার এই আয়োজন সেই প্রাপ্তিরই পূর্ণতার স্বাদ দেয় বাঙালি জাতিকে।
ভাষা আন্দোলন, বাংলা একাডেমি আর একুশের বইমেলা একই সুত্রে গাথা। একুশের ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ফসল বাংলা একাডেমি। একুশে বইমেলা বিকশিত হয়েছে বাংলা একাডেমিকে কেন্দ্র করে। নবগঠিত বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক সাহিত্যিক জাগরনের প্রথম প্রকাশ ‘অমর একুশে বইমেলা’।
বুধবার বিকেল সাড়ের ৪টার দিকে প্রাণের এই বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ৩টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি।
উদ্বোধনের আগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ প্রাপ্ত কবি-সাহিত্যিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর সাতজন বিশিষ্ট কবি, লেখক এবং গবেষক এ পুরস্কার পান।
পুরস্কার প্রদানের পর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
গত বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশকে মোট ১২টি চত্বরে সজ্জিত করা হয়েছে। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪৯টি ইউনিটসহ মোট ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার আটটি পথ রয়েছে।
মেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।