
রেজাউল সরকার (আঁধার), গাজীপুর প্রতিনিধি :
প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পুলিশ কনস্টেবলের পরকিয়া প্রেমের পরিণতিতে সন্তান প্রসবের ঘটনায় জেলার কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ জুড়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করার পর জেলা পুলিশ লাইনে সোপর্দ করেছে কালীগঞ্জ থানা পলিশ।
জানা গেছে, কাপাসিয়া থানার ওই পুলিশ কনস্টেবল থানার পাশের বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ফুসলিয়ে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ওই প্রবাসী ২০০৪ সাল থেকে বিদেশ থাকেন। মাঝে মধ্যে ছুটিতে দেশে ফিরেন। বিগত ২০০৭ সালে পাশের কালীগঞ্জ থানার জামালপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর গ্রামে তিনি বিবাহ করেন। তাদের সংসার জীবনে সাত ও তিন বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগ নেন কাপাসিয়া থানার ওই কনস্টেবল। তিনি প্রবাসীর স্ত্রীকে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের ফলে গত প্রায় সাত মাস আগে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। গর্ভ প্রকাশ পাওয়ার আগেই বেড়ানোর কথা বলে বাপের বাড়ি চলে যান ওই প্রবাসীর স্ত্রী। তার স্বামীর আত্মীয় স্বজনকে অন্ধকারে রেখে কালীগঞ্জের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অপারেশনে সন্তান জন্ম হয়।
এর পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সেখান থেকেই হাসপাতালের এক আয়ার কাছে ওই সন্তানটি দত্তক দেয়া হয়। ইতিমধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে উভয় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এতে কাপাসিয়া থানার ওই কনস্টেবলকে উপজেলর প্রত্যন্ত টোক ফাঁড়িতে বদলি করা হয়।
গত মঙ্গলবার পরকিয়া প্রেমিকা ফাঁড়িতে গিয়ে তাকে বিবাহ করার দাবী জানায়। এসময় প্রেমিক পুলিশ বিবাহ করতে রাজি না হওয়ায় সেখানেই বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিকা। পরে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত বুধবার অসুস্থ প্রেমিকাকে বাপের বাড়িতে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ওই কনস্টেবলকে কালীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন। বৃহস্পতিবার ওই কনস্টেবলকে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত জানান, মামলা না হওয়া পর্যন্ত ওই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে নজরবন্ধি রাখা হচ্ছে।