
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটার একটি মাছধরার ট্রলারসহ ১০ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ১৮দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। হোসেন গাজী (৩৫), একই এলাকার জেলে কবির হাওলাদার (৩২), সোবাহান ঘরামী (৪৫), আলমগীর মাতুব্বর (৩৫), নজরুল গাজী (৩২), কাওছার মুসুল্লী (২৬), হাচান হাওলাদার (১৭) এবং মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের রুবেল (২৫), জাহিদুল (১৮) ও সামীম (১৬)। ১৬ জানুয়ারি এফবি ফয়সাল নামের ওই মাছধরা ট্রলারটি কুয়াকাটার মৎস্য বন্দর আলীপুর ঘাট থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরপর থেকে ট্রলারের কারও সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এ তথ্য নিখোঁজ জেলেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মাইটভাঙ্গা গ্রামের ট্রলার মাঝি আলী
এদিকে নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধানে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এফবি ফেরদৌস ও এফবি খাদিজা নামে দু’টি মাছধরা ট্রলার সমুদ্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোন তথ্য ছাড়াই দু’দিন অনুসন্ধান শেষে ইতিমধ্যে ট্রলার দু’টি আলীপুর ঘাটে ফিরে এসেছে। অনুসন্ধানের বহরে থাকা নিখোঁজ জেলেদের আত্মীয় খলিলুর রহমান মুুসুল্লী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজ জেলে আলমগীর মাতুব্বরের বড় ভাই রুহুল আমিন মাতুব্বর জানান, ট্রলারটির ইঞ্জিণ বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভেসে যেতে পারে অথবা ডাকাতদের কবলে পড়েছে কিনা এটি তারা নিশ্চিত নয়। রুহুল আমিন মাতুব্বর আরও জানান, নিখোঁজ জেলেদের প্রতিটি পরিবারে এখন হাহাকার চলছে।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছি। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, নিখোঁজদের বিষয়ে কাছে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর ও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।