
ফয়সাল শামীম, নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের গ্রামাঞ্চলে বাশঁ ছাড় ও বিভিন্ন গাছের ছায়ায় পতিত জমিতে সুগন্ধযুক্ত গুল্ম জাতীয় ফসল আদা চাষ করে অনেক কৃষক লাখপতি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ মকবুল হোসেন জানান, আদা একটি মসলা জাতীয় ফসল যা রান্নাবান্নায় নিত্য ব্যবহৃত। এছাড়া আদা উৎকৃষ্ট ভেষজ যা ঔষুধ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের জলবায়ু আদা চাষের জন্য বেশ অনুকুল। উষ্ণ ও আর্দ আবহাওয়ায় উচু জমিতে আদা চাষের উপযোগী। ছায়াযুক্ত স্থানে আদার ফলন ভাল হয়। বেলে দো-আশঁ ও এটেল মাটিতে এর ফলন বেশি হয়। আদার বীজ চৈত্র-বৈশাখ মাসে বোনার উপযুক্ত সময়। আদায়- রাইজোম নামে এক প্রকার পচা রোগ দেখা দেয়। ওই রোগে আক্রান্ত হলে গাছের গোড়া পচে যায় এবং পাতা হলুদ হয়।
এছাড়া আদা গাছে কান্ড ছিদ্রকারী পোকার আক্রমন পরিলক্ষিত হয়। আদা বপন থেকে সংগ্রহ করতে ২৪০-২৭০ দিন সময় লাগে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৪২৮ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করা হয়েছে। আদা প্রতি হেক্টরে ১০ মেঃ টন উৎপন্ন হয়।
সরেজমিন নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সুকানদিঘী গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘আমি ৪৫ শতাংশ বাড়ীর পাশে বাঁশ ঝাড়ের নীচে উচু জমিতে চাষ করে প্রায় ৩০ মন আদা পেয়েছি। বাজারে ৭০ হাজার টাকা বিক্রী করে দিয়েছি।
নাগেশ্বরী বানিয়া পাড়া গ্রামের শামসুল হক সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে আদা চাষ করে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বিক্রী করেছেন। তিনি এখন লাখপতি। আবারো ওই ৫ বিঘায় আদা চাষের কথা ভাবছেন। বাজারে প্রতি কেজি আদা খুচরা ৭৫-৮০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।