
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক-
সুন্দরবনের করমজল এলাকায় সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে গত কয়েকদিনে অন্তত ৬৩টি কুমিরের বাচ্চা নিখোঁজ বা মৃত পাওয়া যাবার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছিলো গত কদিন ধরেই । এই আলোচনার মধ্যেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হচ্ছিলো কুমিরের বাচ্চাগুলো ।
অবশেষে এই চলমান রহস্যের ‘সমাধান’ হয়েছে বলে দাবী করেছেন প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
বন সংরক্ষক এবং অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন জাহিদুল কবির সংবাদমাধ্যকে দেয়া বক্তব্যে জানিয়েছেন, মৃত কৃমিরগুলোর ঘাড়ে দাতে দাগ থেকে তাদের সন্দেহ হয় এটা হয়তো বণ্যপ্রাণীর কাজ এবং গোপন ক্যামেরায় নজরদারি শুরু করেন তারা।
বন কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, সাধারণত কোনও বণ্যপ্রাণী কিছু শিকার করলে ওই জায়গায় খায় না অন্য জায়গায় টেনে খায়।
ঐ কর্মকর্তা জানান, মৃত কুমিরগুলো যে জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সে জায়গাতেই তারা রেখে দিয়েছিলেন। “শিকারী যেহেতু খাবার লুকিয়ে রেখেছিল , সুতরাং সে আবার আসবেই-এ ধারণা থেকে এ কাজটা করা হয়”
এই পদ্ধতিতে গতকাল রাতে দশ জোড়া ক্যামেরা সেখানে স্থাপন করেন বন কর্মকর্তারা।
একসময় আড়াইটার দিকে তারা দেখতে পান একটা বিড়ালের মতো প্রাণী সেখানে ঢুকছে।
ওই জায়গাটায় প্রাণীটা ঢোকার পর সামনে আস্তে আস্তে এগিয়ে দেখতে পান একটা চিতা বিড়াল বা লিওপার্ড ক্যাট মৃত কুমিরগুলো খাচ্ছে।
এসময় ঐ প্রানীটিকে গুলি করে মারা হয় বলে জানান তিনি ।
বন সংরক্ষক এবং অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন জাহিদুল কবির সংবাদমাধ্যকে আরও জানিয়েছেন, ‘ ওই চিতা বিড়ালটির পোস্ট মর্টেম করা হয় সেসময় তার পেট থেকে কুমিরের বাচ্চার দেহের অনেক অংশ বের করা হয়।’