
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক – অনেক বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে হীন মনের কিছু মানুষ যেমন দেশে বসে দেশের ক্ষতি করছেন তেমন বিদেশে গিয়েও খারাপ কাজ করে দেশের বদনাম বয়ে আনছেন। তেমনই এক বাংলাদেশী মালিকের থাই ট্রাভেল এজেন্সীর মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে এসেছিলেন বেশ কয়েকজন নাগরিক।
তবে তাদেরকে বাংলাদেশে আসার টিকেট দিলেও ফিরতি টিকেট দেয়া হয়নি। অথচ টাকা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে পুরস্কার প্রাপ্ত এয়ারপোর্ট ম্যাজিট্রেট এর ফেসবুক গ্রুপ ‘Magistrates All Airports of Bangladesh’ এ।
পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
”যাদের দেখছেন, তারা ১৪ জন থাই নাগরিক। ২৯ ডিসেম্বর রিটার্ণ টিকেটে বাংলাদেশে এসেছিলেন ইজতেমা এবং তাবলীগ দাওয়াতে। আজ ৭ তারিখ দেশে ফিরতে গিয়ে দেখেন, তাদের রিটার্ণ টিকেট সিস্টেমে নেই।
এয়ারলাইন্সের পরামর্শ অনুযায়ী তারা থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেন। এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের কোনও সমস্যা নেই। দোষ এয়ারলাইন্সের সিস্টেমের। এয়ারলাইন্স সবধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দিল, তাদেরও কোন ধরণের গাফলতি নেই।
থাই প্যাসেঞ্জারদের দিয়ে ফোনে ট্রাভেল এজেন্সিকে স্থানীয় আইনের ভয় দেখালে তারা নতুন করে টিকেট করে পাঠাতে রাজী হয় এবং স্বীকার করে যে রিটার্ণ টিকেট আদৌ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, থাই ট্রাভেল এজেন্সিটির মালীক একজন বাঙালী। প্যাসেঞ্জারদের বক্তব্য অনুযায়ী ইজতেমা উপলক্ষে তারা প্রায় ১৪৫ জনের টিকেট এই এজেন্সি থেকে কিনেছেন। পাশের আরেক এজেন্সির সাথে কম্পিট করতে গিয়ে অনেক কম দামে আপ-ডাউন টিকেট বিক্রি করেছে এই এজেন্সি।
কম দামে দিতে গিয়ে কেবল ওয়ানওয়ে টিকেট করে একই পিএনআর দিয়ে ম্যানুয়ালি আপ-ডাউন টিকেট নাম্বার (রিটার্ণ নম্বর ফেইক) বসিয়ে ফেইক টিকেট বানিয়ে প্যাসেঞ্জারদের ধরিয়ে দিয়েছেন।
ভাবছিলাম ট্রাভেল এজেন্সির নামটা গোপন রাখবো। হাজার হোক বাঙালী। কিন্তু ওনাদের এটা সারতে না সারতে খবর আসলো, আরো ১০জন দরজায় অপেক্ষমান। সেইম এজেন্সি, সেইম কেইস। মাথা গরম… Travel Agent: TH Privilege TRS Co. Agent ID: BKK005PT. জানি না, এই নাম-ধামও ফেইক কি না।”