

নিউজ ডেস্ক,সময়ের কণ্ঠস্বরঃ রাজধানীর মানিকনগর মডেল স্কুল ছুটির পর গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় ভিড়ে ঢুকে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ১ বছর অতিরিক্ত কারাভোগ করতে হবে।
সোমবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল ওই রায় দেন। অভিযুক্ত মো. সেলিমের দণ্ডের রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়াই উচিৎ।’
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আসগর স্বপন বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রাজধানীর মুগদা থানাধীন, ৬/১ পূর্ব মানিকনগরের বাসিন্দা আসামি সেলিম প্রথমদিকে মডেল হাইস্কুলের সামনে বিদ্যালয় ছুটির পর ছাত্রীদের ভিড়ের ভেতর ঢুকে যৌন নির্যাতন করত। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে পর্যবেক্ষণে ছিলেন প্রধান শিক্ষক ফেরদেীস ইসলাম।
ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর যথারীতি আসামি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে কয়েকজন ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। হাতেনাতে ধরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে নারী ও শিশু আইনে মামলা করেন। অভিযোগ করা হয়, স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় আসামি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে ছাত্রীদের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। হাতেনাতে ধরে থানায় দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মুগদা থানার এসআই শফিকুল ইসলাম আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালে তিন বছরে মামলায় চারজন সাক্ষি সাক্ষ্য দিয়েছেন।