

সময়ের কণ্ঠস্বর- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচারিক আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগ যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করলে সেই আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। যাদের মামলা এখনো আপিলে আসেনি তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ রায় দেয়। সেই রায়ে যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড হবে বলে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর এ বিষয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়।
রায়ের বিষয়টি স্পষ্ট করতে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস এটা সব আসামির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। যেসব ফাঁসির আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হবে শুধু তাদেরকে আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘আপিল বিভাগ যে রায়টি দিয়েছেন এবং যেটা আজকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, এই বিষয়টি হলো দুজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড ছিল তা থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর হয়েছে। এক্ষেত্রে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত হলো তাদেরকে আমৃত্যুই কারাগারে থাকতে হবে। যার মৃত্যুদণ্ড আদেশ ছিল এটাকে কমিয়ে যেটা যাবজ্জীবন দেওয়া হয়, এই যাবজ্জীবনের অর্থ হলো আমৃত্যু কারাদণ্ড।’
তিনি বলেন, ‘এই আসামিদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যে ক্ষমতা, জেল কোডের ক্ষমতা এগুলো অ্যাপ্লিকেবল হবে না, কমানো যাবে না। শুধু রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা উনি এক্সারসাইজ করতে পারবেন, উনি কমাতেও পারবেন, উনি মাফও করতে পারবেন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় প্রকাশের ফলে সবার মনে যে প্রশ্ন জেগেছে যে এটা সব ক্ষেত্রে হবে কি না। এই মামলাটি দুজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লোককে যাবজ্জীবনে রূপান্তরিত করেছিল আদালত। এই যাবজ্জীবন রূপান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে এই সাজাটা কত দিন হবে। সেক্ষেত্রে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন আমৃত্যু ধরতে হবে তার সাজা। এক্ষেত্রে জেল কোড বা অন্যান্যভাবে তার সাজা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। এটা যে মামলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে বিস্তারিত রায় পড়ে যদি দেখা যায় যে তার ইন্ডিকেশনটা অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে বলা হয়, সেক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেবল হবে। এক্ষেত্রে পুরো রায়টা না পড়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব না।’