
আ.ম আরীফুল হক, কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চল থেকেঃ সাম্প্রতিক সময়ে চলমান প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (পিএসসি) প্রশ্নপত্র জনসাধারণের হাতে হাতে দেখতে পাওয়া গেছে। অনলাইনের বদৌলতে পিএসসি পরীক্ষার গণিত প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর ২ দিন আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌছে গেছে।
অনলাইনে প্রাপ্ত প্রশ্ন ইমো, মেসেঞ্জার কিংবা ব্লূটুথের মাধ্যমে এক হাত থেকে অন্য হাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে পড়েছেন নানা দুশ্চিন্তায়।
মেধাবী শিক্ষার্থী পলি, জুইফা, প্রিমা, লক্ষী, রবিন, কেয়া অভিযোগ করে বলে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটা আমাদের জন্য অমঙ্গলের। এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে থাকলে আমরা আমাদের মেধাকে কিভাবে কাজে লাগাবো। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ফলে একজন মেধাবী আর একজন অ-মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোন তফাত থাকবে না।
মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁসই হয়ে যায় তা হলে পরীক্ষা নেবার কি দরকার? পরীক্ষা হল শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের অন্যতম এক মাধ্যম। এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পাশের হার বাড়বে, কিন্তু মেধাবী শূন্য হবে এই দেশ।
সময়ের কণ্ঠস্বর/রবি