
স্পোর্টস আপডেট ডেস্ক- নিজেদের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের সম্মান জানাতে বিভিন্ন দেশ ও ক্লাব তাদের ব্যবহৃত জার্সি চিরতরে তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশেষ করে ফুটবল তারকারা এই সম্মাননা বেশি পেয়েছেন।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, পেলে অবসর নেয়ার পর তার ১০ নম্বর জার্সি তুলে রেখেছিল নিউইয়র্ক কসমস। নাপোলির হয়ে একই সম্মান পেয়েছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। ক্লাব ব্রেশিয়া এ সম্মান দেখিয়েছিল তাদের রবার্তো ব্যাজ্জোর প্রতি।
এমনকি বাংলাদেশের ফুটবলেও ১৯৮৪ সালের পর কাজী সালাউদ্দিনের ‘১০ নম্বর’ জার্সি দীর্ঘদিন তুলে রেখেছিল আবাহনী।
তবে ক্রিকেটে এমন সম্মান মনে হয় ফিল হিউজই প্রথম পান। ক্রিকেট মাঠে বলের আঘাতে অকালে চলে যাওয়া হিউজের প্রতি সম্মান জানিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তার ৬৪ নম্বর জার্সিটি চিরতরে তুলে রাখে।
ফিল হিউজের মতো মৃত্যুর পর নয়, পেলে-ম্যারাডোনার মতো এবার জীবদ্দশাতেই সেই সম্মান পেতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। তার ব্যবহৃত ১০ নম্বর জার্সি চিরতরে তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বিসিসিআই সরকারিভাবে না হলেও, ‘১০’ নম্বর জার্সিটিকে অবসরে পাঠিয়ে দিল। শচীন তার এই ১০ নম্বর জার্সিটি শেষবার পরেছিলেন ২০১২’র মার্চে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচে খেলার সময়। তারপর প্রায় ৫ বছর কেউ এই জার্সিটি পরেননি।
হঠাৎ করে গত বছর আগস্টে মুম্বাইয়ের জোরে বোলার শার্দুল ঠাকুরকে দেখা যায় ‘১০’ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন। যা মানতে পারেননি কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের ঝড় বয়ে যায়।
বোর্ড এবং শার্দুল ঠাকুরকে কটাক্ষ করা হয়। কেউ কেউ তো বলে বসেন, ‘আরে দ্বিতীয় শচীন হতে চাইছে নাকি?’ শার্দুল নিজের তরফে একটা যুক্তি খাড়া করেছিলেন বটে। কিন্তু সেটা কারও মনে ধরেছে বলে নয়। তাই বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগিয়েছে।
উল্লেখ্য, শচীনের অবসরের পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ওই জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বোর্ড এই জার্সি তুলে রাখার বিষয়ে দলের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছে। তারাও ওই নম্বরের জার্সি তুলে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন।
সময়ের কণ্ঠস্বর/রবি