
অন্তু দাস হৃদয়, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় চলন্ত বাসে রূপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছে। মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ এবং টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল হাসান এ আদেশ দেন। আগামী ৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপার ভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, বুধবার আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।
এ সময় তাঁদের আইনজীবী শামীম চৌধুরী আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি, মামলাটি অধিকতর তদন্ত এবং জামিনের জন্য পৃথক তিনটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন গুলো খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, গত (২৫ আগস্ট) বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকেরা ধর্ষণ করেন। পরে, তাঁকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা বন এলাকায় ফেলে রেখে যান। পুলিশ ওই রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পর দিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করে।
এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরে, ২৮ আগস্ট রূপার ভাই মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পুলিশ এরপর ওই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের কাছে তাঁরা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং (৩০ আগস্ট) চালক হাবিবুর এবং সুপার ভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তাঁরা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন। ৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তাঁর ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসান বাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করা হয়।
সময়ের কণ্ঠস্বর/রবি