
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গত তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে। ইতোমধ্যে শিবগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমেছে। মাত্র তিন দিন আগে শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা।
কিন্তু তুরস্ক থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে, এই সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশের পরই পেঁয়াজের বাজারে প্রতি কেজি ৯০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। চলতি মাসে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এক হাজার ১৫৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা।
ক্রমান্বয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজিপ্রতি ৯০ টাকায় বেচাকেনা শুরু হয়। তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাথায় হাত পড়েছে। আর বাজারে কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম। আর স্বস্তি ফিরেছে বাজারে আসা পেঁয়াজ ভোক্তাদের।
তুরস্ক থেকে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে দেশে
দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার ভারতের ওপর নির্ভরশীল হলেও দেশের ঘাটতি মেটাতে এস আলম গ্রুপ তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। যা শীঘ্রই দেশে এসে পৌঁছবে।
সরকারি হিসেব মতে, দেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২০ থেকে ২২ লাখ টন। আর আমাদের দেশে উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ টন। এই ঘাটতি থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ছে।
এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আক্তার হাসান জানান, দেশের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ, ঠিক সেভাবেই ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে গ্রুপের চেয়ারম্যান পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
আক্তার হাসান আরো বলেন, আমদানিকৃত পেঁয়াজের চালান দেশে এসে পৌঁছলে পেঁয়াজের বাজারমূল্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।