
আব্দুল লতিফ রঞ্জু, পাবনা প্রতিনিধি- পাবনার ঈশ্বরদীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমাল ও ক্যাডার বাহিনীর হামলা ঘটনায় ভুুমিন্ত্রীর ছেলে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে প্রধান এবং উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় বুধবার গভীররাতে একটি মামলা হয়েছে।
(মামলা নং ৭০ তারিখ ২৯/১১/২০১৭। ডিবিসি নিউজের পাবনা প্রতিনিধি মির্জা পার্থ হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তবে ৩০ ঘন্টার পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে ৩০ ঘন্টা পরেও ভুমিমন্ত্রীর ছেলে গ্রেফতার না হওয়ায় পাবনা এবং ঈশ্বরদীর সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কৌশলে সময় ক্ষেপন করছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন ঘটনার মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈশ্বরদীর রূপপুরে কর্মসূচি থাকায় রাষ্ট্রিয় কাজে সকল পুলিশ ব্যস্ত ছিল। তাই কোন অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময় আসামীরা গ্রেফতার হতে পারে।
ভুমিমন্ত্রীর ছেলের নেতৃত্বে একদল যুবক বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদুর প্রচার গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর করছিল। এ ছাড়া আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ব্যানার ফেষ্টুন ছিড়ছিল। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক সেই ছবি এবং ফুটেজ তুলতে গেলে ভুমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে ২৫/৩০ যুবক সাংবাদিকদের উপর হামলা করে।
এ সময় সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং বিডি নিউজ প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, এটিএন নিউজ এবং পরিবর্তন ডটকমের প্রতিনিধি রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মির্জা পার্থ হাসান ও ক্যামেরাপার্সন মিলন হোসেন আহত হন। তাদের মধ্যে সময় টিভির প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ ও এটিএন নিউজের প্রতিনিধি রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়কে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হন ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর ছেলে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ ছাত্র ও যুবলীগ নেতাকমি। ঐ দিন ভুমিমন্ত্রীর ছেলের নেতৃত্বে মুখ বেধে ফিল্মি স্টাইলে ঈশ্বরদী বাজারের ফুড জংশন, লক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডার করা হয়।
এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা যোবায়ের বিশ্বাস ও আরিফুলের বাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আরও পৃথক দুটি মামলা হয়। এ সব মামলায় ভুমিমন্ত্রীর ছেলে ২৮ দিন জেল খাটেন।
সময়ের কণ্ঠস্বর/রবি