
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যমজ দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মরদেহ দুটি পলিথিনে মুড়ে বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি নেয়ার পথে প্যাকেটটি নড়েচড়ে ওঠে। প্যাকেট খুলে এক শিশুকে শ্বাস নিতে দেখে পরিবারের লোকজন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা বলেন, শিশুটি জীবিত। গতকাল শুক্রবার ভারতের দিল্লির সালিমার বাগে ম্যাক্স হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্র থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ম্যাক্স হাসপাতালে ওই যমজ শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পরপরই এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটিকে চিকিৎসা বাবদ প্রথম তিনদিন এক লাখ রুপি করে তিন লাখ রুপি খরচ হবে। এরপর থেকে ৫০ হাজার রুপি খরচ হবে। আর শিশুটিকে প্রায় তিন মাস হাসপাতালে রাখতে হব।
এ জন্য শিশুটির পরিবার কম খরচ হবে এমন কোনো হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তাঁদের দ্বিতীয় শিশুটিও মৃত।
ওই যমজ শিশুদের দাদা কৈলাস জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশু দুটিকে একটি ব্যাগে ভরে পেছন দরজা দিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। হাসপাতাল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আসার পর তারা লক্ষ করেন প্যাকেটের মধ্যে কিছু নড়াচড়া করছে।
এরপর ওই পরিবার কাশ্মীরি গেট এলাকায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানকার চিকিৎসকরা বলেন, শিশুটি জীবিত আছে। পরে ওই শিশুকে আবার ম্যাক্স হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেছে শিশুদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন।
ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২২ সপ্তাহ অপরিপক্ব শিশুর জন্ম হয়েছে। ফলে তাদের বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণই ছিল না। এ নিয়ে তারা অনেক শঙ্কিত ছিল। ওই চিকিৎসককে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, এটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। এ সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক টুইটবার্তায় এ ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন।