
আ.ম আরীফুল হক, কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চল থেকেঃ হাওরের দেশ নিকলীতে মাছ সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠ বাজারজাত করণের অভাবে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার মাছ পঁচে নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে মৎস্যজীবীরা নাম মাত্র মূল্যে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
মৎস্যজীবী সমিতিরি সদস্যরা জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বরফের দুষ্প্রাপ্যতার ফলে প্রতি বছর গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত মৌসুমে হাওর অঞ্চল নিকলী এলাকায় কোটি টাকার মাছ পঁচে নষ্ট হচ্ছে। নিকলী থেকে আহরিত মাছ নৌকা ও ট্রলার যোগে ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন আড়তে পৌছানো হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। বিক্রির পর সংরক্ষণের অভাবে অবিক্রিত মাছ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিদিন হাজার হাজার জেলে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে মাছ আহরণ করে থাকে। পর্যাপ্ত বরফ কলের অভাবে কিছু মাছ পানির দরে বিক্রি করে থাকলেও অবশিষ্ট মাছ পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ শিল্প স্থাপনে সরকারী কিংবা বে-সরকারী কোন উদ্দ্যোগ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। যার ফলে মৎস্যজীবীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। হিমাগারের অভাবে এ মাছ গুলো পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সময়ের কণ্ঠস্বর/রবি