
সময়ের কণ্ঠস্বর- বিএনপি ও জিয়া পরিবারের প্রতি ভালোবাসায় বাংলাদেশের মানুষের কাছে চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সব সময় জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে ভালোবাসত। জিয়াউর রহমানের সেই রক্তই তারেক রহমানের গায়ে, সেই রক্তই ছিল আরাফাত রহমানের গায়ে। তারা নিজেরা কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য, দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছে, করছে।
শনিবার রাতে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। ‘ডেমোক্রেটিক পলিসি ফোরাম’র উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রকাশিত বই তিনটি হচ্ছে- ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’, ‘তারেক রহমানের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি’ এবং ‘দিপ্তীমান দেশনায়ক’। এগুলো লেখক মাহবুবুর রহমান, সাইফুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারেক রহমান সম্পর্কে আপনারা যতটুকু জানেন এবং বোঝেন, দেখবেন সে বিদেশে চিকিৎসাধীন হয়েও দেশ থেকে কেউ গেলে দেশের অবস্থা জানতে চান। কারণ তার নেয়ার মতো কিছু নেই। সবাই দোয়া করবেন সে (তারেক) যেন সুস্থ হয়ে দেশে সকলের মাঝে ফিরে আসে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) মাঝে মাঝে যে বক্তব্যগুলি দেন, সে বক্তব্য থেকে আপনারা বুঝতে পারেন যে তারেক রহমান কতটুকু সত্য কথা বলছে। তার এই সত্য কথার জন্য আজকে এই গভর্নমেন্ট, সত্য কথাগুলি যাতে প্রচার না হয় সেজন্য তাঁর প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছে, আপনারা দেখেছেন। কাজেই বুঝতে পারছেন যে তারা তারেক রহমানের ওপরে তারা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। কতগুলা পত্রিকা আছে যারা অন্যায়ভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তারেক রহমানের নামে। কিন্তু তারেক রহমান নয়, তারাই নিজেরা নিজেদের চরিত্রটা একটু বিশ্লেষণ করে দেখবেন, তারা কী জিনিস?’
উল্লেখ্য, সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক মাস পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান তারেক রহমান। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।
মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় গতবছর তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় হাই কোর্ট। এছাড়া শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে আরও কয়েক ডজন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রবি