
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি প্যাথলজি বিভাগ বরিশালের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (২১) কে অপহরণ করার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম (২৫) কে আটক করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
বরিশাল কোতয়ালী থানার ওই ছাত্রী নিখোঁজের জিডির সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে সিরাজুলকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
আটকের পর ওই ছাত্রীর প্রেমিক সিরাজুল মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে বলেন, মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ২০ নভেম্বর বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া এনে সহযোগিদের নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করার হুমকি দিলে সিরাজ ও তার সহযোগিরা এলোপাতারি লাথি মেরে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
বরিশাল কোতয়ালী থানার এসআই আবদুল ওহাব জানান, গত ১৯ নভেম্বর’১৭ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের দেফুলিয়া খান বাড়ীর বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন খানের কন্যা ওই ছাত্রী কলেজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ২২ নভেম্বর বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (যার নং- ১৩২৩/১৭)।
পরে ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ ছাত্রীর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে বরিশাল কোতায়ালী থানা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ সিরাজকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা আলমগীর হোসেন বরিশাল কোতয়ালী থানায় সিরাজুলকে প্রধান আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই আবদুল ওহাব আরও জানান, অপহরণ মামলায় সিরাজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং সিরাজের দেয়া তথ্য তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত সিরাজের তথ্য ভিত্তিতে কোতয়ালী ও মঠবড়িয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত (রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা) ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ কিংবা লাশের সন্ধান মেলেনি।
সময়ের কণ্ঠস্বর/রবি