
মো: আনিসুর রহমান আগুন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরা এখন কাশিয়ার খড় বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। অপরদিকে ভুমি দস্যুরা প্রকৃত জমি মালিকদের খড়ের ক্ষেত জবর দখল করে খড় বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে। যার কারনে জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো তাদের জমির খড় বিক্রি করতে পারছে না।
উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী এখন ধু-ধু বালুচরে পরিনত হয়েছে। তিস্তার বুক জুড়ে চাষাবাদ হচ্ছে নানাবিধ ফসলের । পাশাপাশি বিভিন্ন চরে চাষাবাদ ছাড়াই কাশিয়ার ক্ষেতে ভরে উঠেছে ।
বিশেষ করে চন্ডিপুর,হরিপুর ,শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ী,ভাটিবোচাগাড়ী,চরচরিতাবাড়ী, চর হরিপুর,চর বিরহীম,কেরানির চর, ফকিড়ের চর,কালাইসোতার চর, রিয়াজ মিয়ার চর,উজান বড়াইল,ভাটি বুড়াইল চরে কাশিয়ার ক্ষেত দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে । ওই সব চরের কৃষকরা এখন খড় বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। অনেক কৃষক খড় বিক্রি করে এখন স্বাবলমী।
অপরদিকে এক শ্রেনির ভুমি দস্যু খড়ের ক্ষেত দখল করে নিচ্ছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি বুড়াইল চরের আনছার আলী জানান, চরের মধ্যে গজিয়ে উঠা কাশিয়ার খড় বিক্রি করে এখন সংসার চালাচ্ছি। কিন্তু ভুমি দস্যুদের কারনে নিজের জমির খড় বিক্রি করতে পারছি না। পাঁচপীর খেয়াঘাটের পাইকারি খড় বিক্রেতা ফয়জার রহমান জানান, একশত খড়ের আটি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার হতে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় । চরের কৃষকরা খড় নিয়ে এসে আমাদের নিকট বিক্রি করে।
পানের বরজ মালিকারা আমাদের নিকট থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায়। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান,চরের মধ্যে জমি-জমার সিমানা নিধারন করা দূরহ ব্যাপার । তাই একজনের জমির খড় আরেকজন কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।