
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি- কুষ্টিয়ায় মানহানি মামলায় জামিন নিতে এসে আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত ওরফে তুষার।
জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠলেও তিনি বলেছেন, দোষী বের হয়ে এলে বোঝা যাবে আসলে এর সঙ্গে কারা জড়িত। তাঁর দাবি, এটি বিএনপি-জামায়াত করেছে।
মঙ্গলবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে দুপুর ১২টায় জেলা ছাত্রলীগ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইয়াসির আরাফাত এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তুষার বলেন, আমি মামলার বাদি। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আদালত চত্বরে আমরা উপস্থিত ছিলাম। পরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করি। তারপর জানতে পারি, আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় মাহমুদুর রহমানের ভাড়া করা প্রাইভেট কারটি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়। জামায়াত-বিএনপি নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগকে ফাঁসাতে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহাম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। সাদ আহাম্মেদ দাবি করেন, ঘটনার দিন বিকেলে আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক শেষ করে বাইরে বের হন মাহমুদুর রহমান। এরপর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাকে আদালত চত্বর থেকে বের করে নিয়ে যান। ওই সময় দুর্বৃত্তরা মুখে গামছা বেঁধে তার ভাড়া করা গাড়িতে হামলা চালায় এবং মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। ছাত্রলীগ কখনও মুখে গামছা বেঁধে হামলা করে না। এটা বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের। হামলায় তো বিএনপিপন্থি কোনো আইনজীবী আহত হননি। এটাই প্রমাণ করে যে বিএনপি-জামায়াত নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে মুখে গামছা বেঁধে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।