
মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হোমিও দোকানের স্পিরিট সেবনে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে এ মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং-২৭, তারিখ ২৮/৯/২০১৯ইং)। নিহত নূর নবী মানিকের ভাগিনা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূএে জানা যায়, রফিক হোমিও হলের মালিক ডা: সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ (৬৫) ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমানকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিশির কুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাগ্নে বাদী হয়ে মামলা করেছে এবং ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রথমে ৫ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতার ছেলে প্রিয়মকে আটক করে। পরে তার ভাষ্যমতে, তার বাবা স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদ উল্যাহ কে শনিবার ভোর রাতের দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল আহমদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্তের হোমিও দোকান তল্লাশি করে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন দোকানটি সিলগালা করে দিয়েছে। এসময় নিষিদ্ধ স্পিরিটসহ হোমিও প্যাথিক ওষুধ জব্দ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত ওষুধ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হবে।
এ ঘটনায় আরও অন্তত ৬ জনকে গোপনে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকায় প্রেরণ করে আত্মীয় স্বজনেরা।
অপরদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বসুরহাট বাজারের পান বাজার সংলগ্ন রফিক হোমিও হল দোকানের স্পিরিট বিভিন্ন কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছে, উপজেলার মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমদ’র ছেলে মহিন উদ্দিন (৪০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির নুর নবী মানিক (৫০), পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ক্ষিরত মহাজন বাড়ির অনিল রায়’র ছেলে রবি লাল রায় (৫৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকার আবদুল খালেক (৭২), সিরাজপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন সবুজ (৬০), উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হিয়াল্লাদের বাড়ির ক্যাপ্টেন রহমান বাড়ির ক্যাপ্টেন রহমান’র ছেলে ওমর ফারুক লিটন (৫২)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দোকানের মালিক জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম দীর্ঘ অনেক বছর অনেকটা খোলামেলা ভাবে এ হোমিও হল দোকানে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। সে এই স্পিরিট বিক্রির টাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ করছে বহুতল ভবন।